শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১২:২২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
চসিক প্রশাসক হলেন আ.লীগ নেতা সুজন

চসিক প্রশাসক হলেন আ.লীগ নেতা সুজন

স্বদেশ ডেস্ক:

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। চসিকের নির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগেই তিনি এই দায়িত্ব পেলেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগামীকাল ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রের মেয়াদ শেষ হবে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নতুন নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব না হওয়ায় সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।

তাজুল ইসলাম বলেন, প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে বেশ কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করা হলে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. খোরশেদ আলমকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল তাকে যোগদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কবে নাগাদ নির্বাচন আয়োজন করা হতে পারে- এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কবে নির্বাচন আয়োজন করা হবে সেটি নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। সরকার নানা বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে।

খোরশেদ আলম সুজন ছাত্রজীবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে চবি থেকে সমাজতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরি সায়েন্সে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে ১৯৮৬ সালে ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

প্রায় ৫০ বছরের বর্ণিল রাজনীতিক ক্যারিয়ারে অনেকবার সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন লাভের সুযোগ এলেও তা বারবারই হাতছাড়া হয়েছে তার। কিন্তু রাজনীতির মাঠে সজ্জন পরিচ্ছন্ন পোড় খাওয়া এই নেতা জীবনের শেষবেলায় এসে তার প্রাপ্য মূল্যায়ন পেলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট আ জ ম নাছির উদ্দীন মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী, পর্ষদের মেয়াদ পাঁচ বছর। এই হিসেবে বর্তমান পর্ষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামীকাল (৫ আগস্ট)।

নিয়মানুযায়ী, মেয়াদপূর্তির ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে হিসাবে ২৯ মার্চ ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন তফসিলও ঘোষণা করেছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভোটের এক সপ্তাহ আগে ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত করেন ইসি।

স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। এ ছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ৫৫ পদে ২৬৯ প্রার্থী রয়েছেন ভোটে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রশাসক বসানো হলেও সুবিধাজনক সময়ে মন্ত্রণালয় অনুরোধ করলে নির্বাচন কমিশন ভোটের তারিখ নির্ধারণ করবে। সে ক্ষেত্রে বর্তমান প্রার্থীরাই বহাল থাকবেন এবং যেখানে ভোট স্থগিত হয়েছিল সে অবস্থা থেকে নির্বাচন হবে। তবে মৃত্যজনিত যেসব পদ এর মধ্যে শূন্য হবে সে বিষয়ে কমিশন তখন সিদ্ধান্ত নেবে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছে।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন (মিনার), এনপিপির আবুল মনজুর (আম), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র খোকন চৌধুরী (হাতি)।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877